শেয়ারবাজারের এসএমই প্ল্যাটফর্মে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা মামুন এগ্রো প্রোডাক্টসের লেনদেন মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে। তবে সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোম্পানির কোনো শেয়ার হাতবদল হতে দেখা যায়নি।

এদিকে, ডিএসই ও সিএসইতে ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত মামুন এগ্রো প্রোডাক্টসের ট্রেডিং কোড হলো- “MAMUNAGRO”।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির কিউআরওতে আবেদনকারীদের বেনিফিসিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার প্রেরণ করা হয়েছে। ২৩ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কিউআরওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়।

এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৯৭তম সভায় কোম্পানির কিউআইও’র অনুমোদন দেওয়া হয়।

মামুন এগ্রো প্রোডাক্টসের কিউআইওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে বিল্ডিং ও সিভিল নির্মাণ, চলতি মূলধন ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানির ৩১ মার্চ ২০২১ সমাপ্ত ৯ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯৮ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.২৫ টাকায়।

এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে যেসব ইনডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর (রেসিডেন্ট অ্যান্ড নন-রেসিডেন্ট) এর বাজার মূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব সেসব ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হবে।

কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট এবং উত্তরা ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।

উল্লেখ্য, এটি কোনো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কিউআইও।